তসলিমার 'ফেরা' উপন্যাস পড়েছি। উনার যাবতীয় লেখার মাঝে এই উপন্যাসটাই সবচেয়ে ভাল লেগেছে আমার কাছে।
হয়তো তিনি যুদ্ধে যাননি, কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর নানা কাজের মাধ্যমে কিছু অন্তত দেয়ার চেষ্টা করেছেন দেশকে। অনেক অনেক কিশোর-কিশোরীরা তাঁর লেখা দিয়ে অনুপ্রাণিত। অনেকেই যুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছে তাঁর লেখার মাধ্যমেই। get more info এই অবদানগুলো একেবারেই অস্বীকার করার মতো নয় কিন্তু। ফেরা উপন্যাসটি সববয়েসীদের জন্যই। কারণ মুক্তিযুদ্ধ এর বিষয়বস্তু। আর মুক্তিযুদ্ধ কেবল কিশোর উপন্যাস বা ছোটদের কোন বিষয়বস্তু না৷ যুদ্ধের বাস্তবতা চমৎকারভাবে নিয়ে এসেছেন লেখক আবারও এখানে। তাঁর আমার বন্ধু রাশেদ, গ্রামের নাম কাঁকনডুবি বা ক্যাম্প এর পর। নন্দিনী নামের একটি বয়েসে বড় হিন্দু মেয়ের সাথে ফজলের যে হার্দিক সম্পর্ক গড়ে উঠে, এখানে কি লেখক কোথাও তাঁর ব্যক্তিজীবনকে ছুঁয়ে যান অল্প করে? কে জানে! মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস হলেও একেবারে হালকা ভাষায় গড়পড়তা করে লেখা হয়নি এটি। এসেছে অনেক নিষ্ঠুর দিক আর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফেরার পর সময়ের পালাবদলও অল্প করে ধরা পড়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল যে এখনো ফুরিয়ে যান নি, এতে আমি স্বস্তি পেয়েছি।
রিফ্রেস
লেখক : আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথা, সিহিন্তা শরীফা
পুষ্পবতীকে খোঁজে। নানা ধান্দার খবর দিয়ে যায়। আর বিপ্রদাস তাকে দেখলেই কেন যে খেপে
মাঘ মাসের শীতের ভোর। ছ’টা বাজে। আশপাশ ডুবে আছে ঘন কুয়াশায়। চারদিক নীরব, নিস্তব্ধ। শুধু মাঝে-মাঝে ভোরের পাখির কিচির-মিচির শোনা যাচ্ছে।
‘ভূষণের একদিন’ গল্পটিতে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর সঙ্গে বাঙালির যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ভূষণ একজন জাতচাষী। তার পঞ্চাশ বছর জীবনে চাষের কাজ ছাড়া আর কিছুই করেনি, মাটি ছাড়া ভূষণ আর কোথাও কাজ করেনি। অথচ তার বাপ, পিতামহ একসময় বড়লোক ছিল। বর্তমানে এই জাতচাষী ভূষণের ঘরে খাবার নেই, তাই সে সকালে একটা কাস্তে হাতে করে বেরিয়েছিল কাজের সন্ধানে। সময়টা ছিল এপ্রিল মাস। ভূষণ মল্লিক বাড়িতে বেড়া বাঁধার কাজ করছিল, এমন সময় তিনটি ছেলে বন্দুক হাতে তার সামনে এসে দাঁড়ালো। তাদের একজন বললো, ‘দেশ নিজের করে নাও ভূষণ, স্বাধীন করে নাও। পাকিস্তান আর রাখা যাচ্ছে না।’ আরেকটি ছেলে ভূষণকে উদ্দেশ করে বললো, ‘তোমরা ভয় পেলে কোনো কাজই হবে না – তোমাদের অস্ত্র ধরতে হবে – তোমরাই তো ছ’কোটি মানুষ আছো এদেশে – এই তোমরা যারা চাষী-জমিজমা চাষাবাদ করো। আমাদের দেশটা চুষে খেয়ে ফেললো শালারা। ভাল ভাল অস্ত্র দিয়ে ঢাকায় খুলনায় সব জায়গায় আমাদের মেরে শেষ করে দিলে। অস্ত্র না চালালে এখানেও আসবে ব্যাটারা। লুকিয়ে বাঁচবে ভেবেছ?
সায়েম মুন বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বও দিয়ে ফেলেছেন। আমি শেষ ট্রেনের যাত্রী হিসেবে উপস্থিত হলাম
আর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ মনে হয় প্রচ্ছদে.. বুঝলাম না আমাদের এরপর কি হবে! ভিতরে মনে হয় যা তা ঠুশে দারুন প্রচ্ছদ হলেই কেল্লাফতে! আর বই একবার বিক্রি হয়ে গেলেই তো হল! পয়সা উশুল। অনেক শিক্ষা হল, আর এই পথে যাচ্ছি না।
ভালোবাসে। বাড়িতে ফিরলেই মাথা গরম করে ফেলে। তখন পুষ্পবতীর ভয় হয়। আরে ছ্যাঁচড়া জীবন আমার। বউ তুমি বোঝ
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: বেশ ভালো লাগল গল্পটা ।
কিংবা সাইকেলে কিছুটা গেলেই হাসনাবাদ যাবার রেলে উঠে পড়া যায়। এইসব রাস্তার বিপ্রদাসকে যাওয়া আসা করতেই হয়—সেই জনম ইস্তক সে
তাড়াতাড়ি লিখেন নাইলে... ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৯
হাড়-গোড়গুলোর গায়ে লেগে থাকা আলগা মাটি সরানোর পর সবাই বিস্ময়ে আঁতকে উঠল। ওগুলো সাধারণ কোনও হাড়- গোড় নয়-একেবারে খাঁটি সোনার!!!